ঢাকা: রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন পুনরায় কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ আজ সকালে এই গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করেন।
এই রায়ের মাধ্যমে হাইকোর্টের ২০১৩ সালের জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায় ও ২০১৮ সালে নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপন বাতিল হয়ে যায়। ফলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী বৈধ রাজনৈতিক দল হিসেবে অংশ নিতে পারবে।
জামায়াতের পক্ষে আদালতে আইনি লড়াই করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন ও ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম।
২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়। এরপর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন দিয়ে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে।
তবে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলেও শুনানিতে অনুপস্থিত থাকায় গত বছর মামলাটি ‘ডিসমিসড ফর ডিফল্ট’ হিসেবে খারিজ হয়ে যায়। পরবর্তীতে সেই আপিল মামলাটি পুনরুজ্জীবনের আবেদন করা হয়, যা গত ২২ অক্টোবর মঞ্জুর হয় এবং পুনরায় শুনানি শুরু হয়।
জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে ২০২৪ সালের ১ আগস্ট সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করলেও পরে তা বাতিল করা হয়।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, জামায়াত তাদের পুরনো প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফেরত পাবে কিনা। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।
এই রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।